ঢাকা ০৩:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুদ্ধবিমানে চীনের লেজার রশ্মি নিক্ষেপ, ক্ষুব্ধ অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:০৯:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৮৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব দিকে কোরাল সাগরে চীনের সামরিক জাহাজে থেকে অস্ট্রেলিয়ার যুদ্ধবিমানে লেজার রশ্নি নিক্ষেপের অভিযোগ করে দেশটির প্রতিরক্ষা দফতর।

এবার এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন স্বয়ং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।

গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন লেজার রশ্নি নিক্ষেপের ঘটনাকে চীনের ‘ভীতি প্রদর্শনমূলক’ কাজ বলে মন্তব্য করেছেন।

বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার যুদ্ধবিমান `পি-৮এ পসেইডন’ উত্তরের আকাশসীমা ধরে যাচ্ছিল। সেই সময় বিমানটিতে লেজার রশ্নি নিক্ষেপ করা হয়। পিপলস লিবারেশন আর্মির জাহাজ থেকে এই লেজার বিচ্ছুরণ করা হয় বলে পরে অনুসন্ধানে পাওয়া যায়।

শনিবার এই ধরণের অপেশাদারিত্ব ও সুরক্ষাবিহীন সামরিক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানায় অস্ট্রেলিয়া। এতে প্রাণহানি হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।

রোববার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী চীনের এমন কর্মকাণ্ডকে ‘বেপরোয়া’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, এই ধরনের ‘অবিবেচনাপ্রসূত’ কাজ করা উচিত নয়। চীন সরকারের কাছে অস্ট্রেলিয়া  ‘প্রতিরক্ষা এবং কূটনৈতিক’ মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাবে উল্লেখ করে স্কট মরিসন বলেন— অস্ট্রেলিয়ার বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকায় (ইকোনোমিক জোন) একটি সামরিক জাহাজ কেন এমন কাজ করল, এর কারণ চীনের ব্যাখা দেওয়া উচিত।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি এটাকে ‘ভীতিপ্রদর্শন’ ছাড়া অন্য কিছু দেখছি না। বিনা উসকানিতে এমন কাজ করা হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়া এই ধরনের ‘ভয় প্রদর্শন’ মেনে নেবে না।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের লেজার রশ্মির বিচ্ছুরণের জেরে পাইলট সাময়িকভাবে অন্ধ হয়ে যেতে পারেন। এর জেরে বিমান দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে।

বছর দুয়েক আগে যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করেছিল, প্রশান্ত মহাসাগরে থাকা চীনের যুদ্ধ জাহাজ থেকে একইভাবে মার্কিন বিমানে লেজার বিচ্ছুরণ করা হয়েছিল। ২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার হেলিকপ্টারচালক এই ধরনের লেজার রশ্মির মুখে পড়েছিলেন। ২০১৮ সালে মার্কিন সরকার চীন সরকারকে এ নিয়ে অভিযোগও জানিয়েছিল। কিন্তু তারপরেও নিজেকে সংশোধন করেনি চীন।

সর্বশেষ ঘটনার বিষয়ে চীনের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

যুদ্ধবিমানে চীনের লেজার রশ্মি নিক্ষেপ, ক্ষুব্ধ অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ১০:০৯:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব দিকে কোরাল সাগরে চীনের সামরিক জাহাজে থেকে অস্ট্রেলিয়ার যুদ্ধবিমানে লেজার রশ্নি নিক্ষেপের অভিযোগ করে দেশটির প্রতিরক্ষা দফতর।

এবার এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন স্বয়ং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।

গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন লেজার রশ্নি নিক্ষেপের ঘটনাকে চীনের ‘ভীতি প্রদর্শনমূলক’ কাজ বলে মন্তব্য করেছেন।

বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার যুদ্ধবিমান `পি-৮এ পসেইডন’ উত্তরের আকাশসীমা ধরে যাচ্ছিল। সেই সময় বিমানটিতে লেজার রশ্নি নিক্ষেপ করা হয়। পিপলস লিবারেশন আর্মির জাহাজ থেকে এই লেজার বিচ্ছুরণ করা হয় বলে পরে অনুসন্ধানে পাওয়া যায়।

শনিবার এই ধরণের অপেশাদারিত্ব ও সুরক্ষাবিহীন সামরিক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানায় অস্ট্রেলিয়া। এতে প্রাণহানি হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।

রোববার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী চীনের এমন কর্মকাণ্ডকে ‘বেপরোয়া’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, এই ধরনের ‘অবিবেচনাপ্রসূত’ কাজ করা উচিত নয়। চীন সরকারের কাছে অস্ট্রেলিয়া  ‘প্রতিরক্ষা এবং কূটনৈতিক’ মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাবে উল্লেখ করে স্কট মরিসন বলেন— অস্ট্রেলিয়ার বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকায় (ইকোনোমিক জোন) একটি সামরিক জাহাজ কেন এমন কাজ করল, এর কারণ চীনের ব্যাখা দেওয়া উচিত।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি এটাকে ‘ভীতিপ্রদর্শন’ ছাড়া অন্য কিছু দেখছি না। বিনা উসকানিতে এমন কাজ করা হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়া এই ধরনের ‘ভয় প্রদর্শন’ মেনে নেবে না।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের লেজার রশ্মির বিচ্ছুরণের জেরে পাইলট সাময়িকভাবে অন্ধ হয়ে যেতে পারেন। এর জেরে বিমান দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে।

বছর দুয়েক আগে যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করেছিল, প্রশান্ত মহাসাগরে থাকা চীনের যুদ্ধ জাহাজ থেকে একইভাবে মার্কিন বিমানে লেজার বিচ্ছুরণ করা হয়েছিল। ২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার হেলিকপ্টারচালক এই ধরনের লেজার রশ্মির মুখে পড়েছিলেন। ২০১৮ সালে মার্কিন সরকার চীন সরকারকে এ নিয়ে অভিযোগও জানিয়েছিল। কিন্তু তারপরেও নিজেকে সংশোধন করেনি চীন।

সর্বশেষ ঘটনার বিষয়ে চীনের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।